ঢাকা , শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ , ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটকার শব্দে কম্পিত শহর

কেউ মানেনি নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০১-০১-২০২৫ ১১:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-০১-২০২৫ ১২:৫৯:২২ অপরাহ্ন
কেউ মানেনি নিষেধাজ্ঞা সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় চলেছে পটকা ফোটানোর উৎসব। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল থেকেই পাড়া-মহল্লায়, সড়কে এবং বাড়ির ছাদে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শুরু করে কিশোর ও তরুণরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই শহরজুড়ে বিরামহীন পটকার শব্দে যেন কম্পিত হয়ে ওঠে পরিবেশ

রাজধানীর শান্তিনগর, মগবাজার, কাকরাইল, বেইলী রোড, হাজারিবাগ, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, বসিলা, মিরপুর, রামপুরা, পুরান ঢাকার কলতাবাজার, লক্ষ্মীবাজার, টায়ারপট্টি, ধোলাইখাল, বংশালসহ আশেপাশের এলাকায় রাত ১১টা থেকেই আতশবাজি ও পটকার আওয়াজ শুরু হয়। ১২ বাজতেই বিকট শব্দে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

এসব এলাকায় বাসা-বাড়ির ছাদে ছাদে মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উল্লাস শুরু করে। আতশবাজির ঝলকানিতে চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এসব দৃশ্য ফোনে ধারণ করেছিলেন অনেকে। কোনও ছাদে উচ্চ শব্দে গানের সাথে নাচ করতে দেখা গেছে। তাদের অনেকেই ছাদে বারবিকিউ পার্টির আয়োজনও করে । ১২টা বাজার পরও এসব আয়োজন চলছিল।

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে দফায় দফায় নিষেধ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এছাড়া রাজধানীর বাসা, বাসাবাড়ির ছাদ ও সব ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলোর প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পুলিশের টহলও তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফলে নির্বিচারে এলাকাগুলোতে পটকা ও আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে।

এদিকে সাধারণ মানুষ এই অতিরিক্ত শব্দের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মিজান হোসেনের বলেন, এ পর্যন্ত ১০টা আতশবাজি ও শ খানেক পটকার আওয়াজ পেয়েছি। স্থির হয়ে বসা যাচ্ছে না। ১২টা বাজলে এটা আরও বাড়বে।মিরপুরের বাসিন্দা তানজিলা আহমেদ বলেন, আমার ছোট বাচ্চাটা ঘুমাচ্ছে না। ভয়ে বারবার চিৎকার করে দৌড়ে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কারও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরও জোরদার করা উচিত ছিল।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ